ওমান প্রবাসীকে গ্রীসে পাঠানোর নাম করে ইরানে আটক রেখে নির্যাতন ও হত্যার ভয় দেখিয়ে ৫ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়ার ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগীর পরিবার। সোমবার সিলেটের কানাইঘাট প্রেসক্লাব কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন প্রবাসীর চাচা রিয়াজুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ২ বছর আগে তার ভাতিজা আকিল আহমদ জীবন-জীবিকার তাগিদে ওমানে যায়। ওমান থাকতেই জৈন্তাপুর উপজেলার ইরান প্রবাসী সায়েম আহমদের সাথে মোবাইল ফোনে পরিচয় হয় তার। সেই সূত্র ধরে সায়েম আকিলকে ৮ লক্ষ টাকার বিনিময়ে ভিসা দিয়ে গ্রীসে পাঠানোর আশ্বাস দেয়।
গত ২৫ মার্চ আকিলকে ওমান থেকে ইরানে নিয়ে যায় সায়েম। মুলত সায়েম আর্ন্তজাতিক মানবপাচারকারী চক্রের দালাল। সে ও তার সহযোগীরা সেই থেকে আকিলকে টর্চার সেলে বন্দী রেখে অমানুষিক নির্যাতন শুরু করে এবং মুক্তিপণ দাবি করে। মুক্তিপণ না দিলে আকিলকে হত্যা করে ইরানের সমুদ্রে ফেলে দেয়ারও হুমকি দেয়া হয়।
পরে সেই মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়া পান আকিল। এ ঘটনায় ইরানের বাংলাদেশ দূতাবাসে অভিযোগ দায়ের করা হয়। এ কারণে ক্ষুব্ধ সায়েম ও তার সহযোগীরা আকিলকে হত্যার জন্য খুঁজে বেড়াচ্ছে। এই হুমকির কারনে আকিল এখন আত্মগোপনে আছেন, তার কোন সঠিক সন্ধানও পাচ্ছে না পরিবার। এ অবস্থায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এবং পুলিশের সহযোগিতা কামনা করেছেন চাচা রিয়াজুল ইসলাম।