৩০০ বছর ধরে কুয়েত শাসন করছে এই পরিবার

কুয়েত

সৌদি আরব ও ইরাক বেষ্টিত মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কুয়েতকে গত তিনশ বছর ধরে শাসন করে আসছে দেশটির আল সাবাহ পরিবার। কুয়েতের সংবিধান অনুযায়ী, আমির এবং ক্রাউন প্রিন্স পদের উত্তরাধিকার ঐতিহ্যগতভাবে শুধুমাত্র মুবারক আল-সাবাহর বংশধরদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। আজ যে উন্নত কুয়েতের পরিচয় হয়েছে তাকে একটি রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার সম্পূর্ণ যাত্রা জুড়ে ছিল এই পরিবারটি।

উপসাগরীয় যেকোনো নির্বাচিত সংস্থার চেয়ে বেশি ক্ষমতা রাখে এই আল সাবাহ পরিবার। যেকোনো সরকারি এবং নির্বাহী পদের ওপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ রয়েছে তাদের। দেশটিতে আমির পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়া এবং নির্বাচন ডাক দেওয়ার ক্ষমতাও রাখেন। এমনকি রাজনৈতিক বিষয়ে আমিরের কথাই শেষ কথা বলে স্বীকৃত। তবে পার্লামেন্টের বিরোধী দল প্রকাশ্যে সাবাহদের সমালোচনা করতে পারে।

কুয়েত পিডিয়ার তথ্য অনুযায়ী, আল-সাবাহ মূলত পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চল এবং আরব উপসাগরীয় অঞ্চলের সবচেয়ে বড় উপজাতি গোষ্ঠী ‘আনাজা’ থেকে এসেছে। যারা ছিল আদনানি আরব উপজাতি।

মুখে মুখে প্রচলিত আরেক ইতিহাস অনুযায়ী, আল-সাবাহ পরিবার কুয়েতে বসবাসের আগে দক্ষিণ ইরান এবং ইরাকের বিভিন্ন অঞ্চলজুড়ে বসতি স্থাপন করেছিল। এরপর ১৭শ শতকের শুরুর দিকে আজকের কুয়েতে বসতি স্থাপন করে। সেখানে একজন সাবাহ নেতা হন, ১৭৬২ সালে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি কুয়েত শাসন করেছেন।

আল-সাবাহ পরিবারের গোড়াপত্তন করেছিলেন আমির সাবাহ প্রথম জাবের আল-সাবাহ। যিনি ১৭৫২ থেকে ১৭৭৬ সাল পর্যন্ত দেশটি শাসন করেছেন এখন তাদের ১৭তম বংশধর দেশের শাসনভার গ্রহণ করল। বর্তমানে কুয়েত বিশ্বের ষষ্ঠ বৃহত্তম তেল সমৃদ্ধ দেশ এবং দেশটির জনসংখ্যা ৪৮ লাখ, যার মধ্যে ৩৪ লাখই বিদেশি কর্মী।

২০২০ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর শেখ নাওয়াফ আমির হন। তাকে কুয়েত এবং আরব অঞ্চলের ‘‘প্রধান কূটনীতিক’’ বলা হতো।

শেখ নাওয়াফের মৃত্যুর পর কুয়েতের নতুন আমির হিসেবে ৮৩ বছর বয়সী শেখ মেশাল আল-আহমদ আল-জাবের আল-সাবাহ-এর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি শেখ নাওয়াফের চাচাতো ভাই। আমির হওয়ার আগে তিনি ক্রাউন প্রিন্স পদে ছিলেন। যখন শেখ নাওয়াফ অসুস্থ হয়ে পড়েন তখন আমিরের বেশিরভাগ দায়িত্ব তিনিই পালন করতেন।

আরও দেখুন

এ সংক্রান্ত আরও পড়ুন