নিজেদের হাতে থাকা জিম্মিদের নতুন ভিডিও প্রকাশ করেছে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাস। ভিডিওটিতে তিন জন বয়স্ক ইসরায়েলি জিম্মিকে দেখা গেছে ইসরায়েল অবশ্য হামাসের এই পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়েছে। ভিডিওটি হামাসের ‘অপরাধমূলক ও সন্ত্রাসী’ তৎপরতার অংশ বলেও উল্লেখ করেছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)।
যে তিনজন জিম্মিকে নিয়ে ভিডিওটি করা হয়েছে, তারা হলেন চাইম পেরি (৭৯), ইয়োরাম মেটসগার (৮০) এবং অ্যামিরাম কুপার (৮৪)। ভিডিওটিতে দেখা গেছে যে পেরি বলছেন, তিনি এবং তার মতো আরও যেসব বয়স্ক ব্যক্তি জিম্মি হিসেবে রয়েছেন— স্বাস্থ্যগত কারণ ও কঠিন পরিবেশ-পারিপাশ্বিকতার কারণে তাদের ব্যাপক ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। তাদেরকে মুক্ত করতে ইসরায়েলের সরকারকে তৎপর হওয়ার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি। ভিডিওতে ইয়োরাম মেটসগার এবং অ্যামিরাম কুপারকে কিছু বলতে দেখা যায়নি।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের কিব্বুৎজ নির ওজ অঞ্চলের বাসিন্দা পেরির বাড়িতে হামলা চালিয়েছিল হামাস যোদ্ধারা। পেরির ছেলে রয়টার্সকে জানিয়েছেন, হামলার সময় তিনি বাড়িতে ছিলেন না এবং পেরি তার স্ত্রীকে সোফার আড়ালে লুকিয়ে থাকার নির্দেশ দিয়ে হামাসের বন্দুকধারীদের বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। সে সময়েই তাকে আটক করা হয়।
ইয়োরাম মেটসগারের পুত্রবধূ আয়ালা মেটসগার বলেছেন, ভিডিওটি দেখার পর তিনি একই সঙ্গে আন্ন্দ ও ধাক্কা— দু’টোই অনুভব করেছেন। ‘তাকে দেখার পর প্রথমে আনন্দ হয়েছে এই ভেবে যে তিনি এখনও বেঁচে আছেন। কিন্তু পরমুহূর্তেই আমি ধাক্কা খেয়েছি, কারণ তার ওজন অনেক কমে গেছে এবং খুবই দুর্বল দেখাচ্ছে তাকে।’
এদিকে, সোমবার সন্ধ্যায় টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে আইডিএফের মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি ব হামাসের সাম্প্রতিক এই ভিডিওকে ‘অপরাধপ্রবণ ও সন্ত্রাসী ভিডিও’ উল্লেখ করে বলেন, ‘যেসব বয়স্ক মানুষের চিকিৎসাসেবা প্রয়োজন, তাদেরকে জিম্মি করে রাখা হয়েছে। হামাস কী পরিমাণ নিষ্ঠুর— তা এই ভিডিওটি দেখলেই বোঝা যায়।’
‘চাইম, ইয়োরাম এবং অ্যামিরাম, আমি আশা করি আপনরা আমাকে শুনতে পাচ্ছেন। আপনারা জেনে রাখুন, আপাদের ফিরিয়ে আনার জন্য আমরা সবকিছু করব। যে কোনো মূল্যে আমরা আপনাদের ফিরিয়ে আনবই,’ নিজ বক্তব্যে বলেন রিয়ার অ্যাডমিরাল হাগারি।