জাপানে রানওয়েতে দুই বিমানের সংঘর্ষে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পরও সব যাত্রীর প্রাণে বেঁচে যাওয়ার ঘটনা গোটা বিশ্বে বিস্ময় ছড়াচ্ছে। মূলত, কেবিন ক্রু’দের বুদ্ধিমত্তাই বাঁচিয়েছে সাড়ে তিন’শর বেশি প্রাণ। দুর্যোগ মুহূর্তেও মাথা ঠান্ডা রেখে যাত্রীদের সুষ্ঠুভাবে ও নিরাপদে বের করতে সক্ষম হয়েছেন তারা, এতে প্রশংসায় ভাসছেন ওই বিমানের কেবিন ক্রুরা। ভবিষ্যতে বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণহানি এড়াতে এবং সফল উদ্ধারে এ ঘটনা নজির স্থাপন করেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে রাজধানী টোকিওর হানেদা বিমানবন্দরের রানওয়েতে অবতরণ করার সময় সংঘর্ষের কারণে জাপান এয়ারলাইন্সের ‘ফ্লাইট ৫১৬’ বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। সে সময় ওই বিমানে ৩৭৯ জন যাত্রী ও ক্রু ছিল। তবে এত ভয়ানক অগ্নিকাণ্ডের পরও জ্বলন্ত বিমান থেকে সম্পূর্ণ নিরাপদে নেমে আসেন তারা।
আগুনের তীব্রতা এতটাই ছিল যে, বিপুল সংখ্যক মানুষের প্রাণহানির শঙ্কা করা হচ্ছিল। অথচ কেবিন ক্রুদের বুদ্ধিমত্তার কারণে এ ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। এটিকে অবিশ্বাস্য ঘটনা বলে আখ্যা দিয়েছেন অনেকে। অনেকে বলছেন, এ ঘটনা অলৌকিক। তবে ভয়নক আগুনের পরও অক্ষত হয়ে বেঁচে ফেরা যাত্রীদের বক্তব্যেই স্পষ্ট হয় গোটা ঘটনা।
যাত্রী এবং সংশ্লিষ্টদের ভাষ্যমতে, আগুন লাগার পর মাইক্রোফোন কাজ করা বন্ধ করে দেয়। এসময় জোরে জোরে যাত্রীদের নির্দেশনা দিতে থাকেন ক্রুরা। নিরাপদে বের করেছেন একে একে সব যাত্রীকে। ওই বিমানে থাকা বয়স্ক এক যাত্রী জানান, বিমান অবতরণের সময় বড় ঝাঁকুনি অনুভব করেন। এরপরই ধোঁয়ায় ছেয়ে যায় ভেতরটা। কেবিন ক্রুরা তাদের শান্ত থাকার নির্দেশনা দেন। এর পাঁচ মিনিটের মধ্যে সবাই বের হতে সক্ষম হয়েছিল।