নিজ দেশের সাবেক ক্রিকেটার বা কোচদের নিয়ে জাতীয় দল পরিচালনার রীতি বিশ্বের প্রায় সব দেশে থাকলেও বাংলাদেশে এমন দৃশ্য একেবারেই বিরল। জাতীয় দলে টেস্টে প্রথম কোচ ছিলেন সরোয়ার ইমরান। এরপর কোচের পদে আসলেও তা ছিল চুক্তিভিত্তিক। আর বর্তমানে দলের সঙ্গে সম্পৃক্ততার প্রশ্নে স্থানীদের সর্বোচ্চ দৌড় ম্যানেজার পর্যন্ত। খালেদ মাহমুদ সুজন বা নাফিস ইকবালরা দলের সঙ্গে থাকলেও কোচের পদে দেখা যায়নি।
বুধবার একাধিক পদে কোচ চেয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বিসিবি। যেখানে কোনো প্রকার আগ্রহই নেই স্থানীয় কোচদের। দেশের প্রথম সারির কয়েকজন কোচ জাতীয় দলের কোচিংয়ে নিজেদের আবেদন না করার কারণ জানিয়েছেন।
মিজানুর রহমান বাবুল বলেন, ‘আবেদন করার কোনো প্ল্যান নেই। কারণ আমি তো কিছু দিন আগেই করেছি। তাদের প্রয়োজন হলেই আবেদন তো আছে সেখানে। আবার করার প্রয়োজন দেখি না।’ আর কোচ সোহেল ইসলাম আছেন সিদ্ধান্তহীনতায়। জানেন না আবেদনের শর্ত নিয়ে, ‘এখনো সিদ্ধান্ত নিই নাই। যদি দেয় আমি এখনো জানিনা। ক্রাইটেরিয়াও জানিনা। স্পিন কোচ হওয়ার জন্য আগে বলেছিল ওটা আগেও করিনি। সুযোগ কম।’
এদিকে ঘরোয়া ক্রিকেটের কিংবদন্তি তুষার ইমরানের কণ্ঠে শোনা গেল হতাশা। আক্ষেপ নিয়ে বললেন, ‘আবেদন করার চান্স কম। বাইরে চাকরি করছি, ওরা ওইভাবে আমাদেরকে মূল্যায়ন করে না। লোকাল কোচ হিসেবে মূল্যায়ন করবে। স্যালারিও লোকাল হিসেবে দিবে। এজন্যই বাইরে বাইরে করি।’
রাজিন সালেহ জানান, ‘ কেউ কি বাবার কাছে কি এপ্লিকেশন করে যে বাবা চাকরি করব কি না। কথা হচ্ছে দেশের আমরা যারা কোচ আছি তারা যদি যোগ্য মনে করে নিজে থেকেই আমাদের অফার দিবে, আমরা কেন নিয়োগ পত্র জমা দিব। এই নিয়োগপত্র দিব বাইরের দেশে। ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া বাইরে হলে দিব। কারণ তারা আমাকে চিনে না। নেওয়ার ইচ্ছা থাকলে এমনিই নিবে।’