ওমানে খামারে কাজ করার সময় এক বাংলাদেশিকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। নিহত প্রবাসী ইসরাফিল হোসেনের বাড়ি নাটোরের বড়াইগ্রামে। পরিবারের অভিযোগ, তার কফিল এ হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত। ইসরাফিলের এক নিকটাত্মীয় জানান, গত ৩০ ডিসেম্বর খামারে কাজ করতে করতে স্ত্রী-পরিবারের সাথে মোবাইলে কথা বলছিলেন। একপর্যায়ে একটা আর্তনাদের শব্দ শুনতে পায় তারা। এরপর আর কোনো কথা বলেননি ইসরাফিল। পরে খবর আসে, কে বা কারা তার মাথার পেছনে ভারী বস্তুর আঘাতে হত্যা করে ফেলে রেখে গেছে।
প্রায় দেড় বছর আগে ওমান গিয়েছিলেন ইসরাফিল। সেখানকার খাসাব এলাকার একটি কৃষি খামারে কাজ করতেন তিনি। স্ত্রী-সন্তানদের সুখের জন্য বিদেশ গেলেও সংসারে সেই সুখের মুখ দেখা হলো না তার। উল্টো নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার ইসরাফিল কফিনবন্দী লাশ হয়ে দেশে ফিরেছেন। শুক্রবার বিকেলে তার লাশ বাড়িতে পৌঁছলে স্বজনদের আহাজারী আর বুকফাটা কান্নায় গ্রামের আকাশ বাতাস ভারী হয়ে ওঠে।
ইসরাফিলের শ্যালক মোস্তফা কামাল জানান, ইসরাফিলের মাথার পেছনে গুরুতর আঘাতের চিহ্ন আছে। গোসল করানোর সময়ও তার মাথা থেকে রক্ত ঝরেছে। তাদের ধারণা, সেখানকার মালিকই এ হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত। এ কারণেই তিনি কোনো আইনি প্রক্রিয়া না করে তড়িঘড়ি করে লাশ দেশে পাঠিয়ে দিয়েছেন। এমনকি মৃত্যুর পর মালিকপক্ষ তার পরিবারকে কোনো আর্থিক ক্ষতিপূরণও দেয়নি। এখন ওমানে বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে হত্যা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে পরিবার। তারা এ হত্যাকাণ্ডের বিচার ও উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ চাইছেন।