টি-টেন লিগে খেলতে গিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল ক্রিকেটার নাসির হোসেনের বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে আইসিসি। মঙ্গলবার এই শাস্তি ঘোষণা করে আইসিসি।
২ বছরের নিষেধাজ্ঞা হলেও ৬ মাসের জন্য এই অলরাউন্ডারকে স্থগিত নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। সব শর্ত পূরণ করতে পারলে ২০২৫ সালের ৭ এপ্রিল থেকে আবারও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরতে পারবেন নাসির। তাতে দেড় বছরের জন্য সব ধরণের ক্রিকেট থেকে নির্বাসনে যেতে হচ্ছে এই ক্রিকেটারকে।
২০২১ সালের আবুধাবি টি-টেন লিগ খেলতে গিয়ে সন্দেহভাজন ব্যক্তির থেকে উপহার নিয়েছিলেন নাসির। ৭৫০ ডলারের বেশি অর্থমূল্যের উপহারটি আইফোন-১২ মডেলের একটি নতুন মোবাইল ফোন ছিল বলে জানিয়েছে আইসিসি। তবে উপহার নেওয়ার যৌক্তিক কারণ নাসির প্রদর্শন করতে পারেননি।
এ ঘটনায় ২০২৩ সালের সেপ্টম্বরে নাসিরকে অভিযুক্ত করে তদন্ত শুরু করেছিলো আইসিসি। তখন থেকেই ক্রিকেটের বাইরে রাখা হয় তাকে। দীর্ঘ তদন্ত শেষে আইসিসির ২.৪.৩ ; ২.৪.৪ ও ২.৪.৬ ধারা ভঙ্গের দায়ে টাইগার এই ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে শাস্তির ঘোষণা দেয় তারা। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাকে সঠিক তথ্য দিতে ব্যর্থ হয়েছেন নাসির। তিনি আইফোন-১২ মডেলের নতুন মোবাইল ফোন উপহার নেয়ার সঠিক কারণ জানাতে পারেননি।
এক সময় জাতীয় দলের নিয়মিত মুখ ছিলেন নাসির। ২০১১ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত তিন ফরম্যাট মিলিয়ে বাংলাদেশের জার্সিতে ১১৫টি ম্যাচ খেলেছেন। ২৬৯৫ রানের পাশাপাশি ৩৯টি উইকেট নিয়েছেন এই অলরাউন্ডার। এর আগে দুর্নীতির অভিযোগ আসার পরে ঘরোয়া টুর্নামেন্ট ডিপিএল থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল নাসিরকে। শুরু হতে যাওয়া বিপিএলের ড্রাফটেও তার নাম রাখা হয়নি।