নিজেও একজন নারী। কিন্তু পুরুষের ছদ্মবেশে বিয়ে করেন মেয়েদের। এরপর তাদের বিদেশে বিক্রি করে দেন। আর এই অভিযোগেই পাকিস্তানে এক নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। চমকপ্রদ ঘটনাটি ঘটেছে পাকিস্তানের আজাদ কাশ্মিরে। বুধবার এক প্রতিবেদনে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ এই তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুরুষের ছদ্মবেশে আজাদ জম্মু ও কাশ্মিরের মিরপুর শহরে স্থানীয় মেয়েদের বিয়ের নামে বিদেশে বিক্রি করার অভিযোগে পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত ফরাসি নাগরিক এক মেয়েকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযুক্ত নারীর নাম নার্গিস। ভুক্তভোগী এক মেয়ের পরিবারের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ওই বিদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করে। পুরুষের ছদ্মবেশে থাকা ওই নারী নিজেকে শাবান বলে পরিচয় দিচ্ছিলেন।
পুলিশ জানিয়েছে, সন্দেহভাজন এই নারী একটি আন্তর্জাতিক পাচারকারী চক্রের সদস্য। জিজ্ঞাসাবাদের পরে পুলিশ জানতে পারে, পুরুষের ছদ্মবেশ নিয়ে নার্গিস বিয়ের জন্য প্রায়ই আজাদ কাশ্মিরে আসতেন। পরে কোনও মেয়েকে বিয়ের পর সন্দেহভাজন এই নারী তার ভ্রমণবিষয়ক নথিপত্র তৈরি করত এবং বিদেশে বিক্রি করে দিতো।
তার প্রতারণামূলক পরিকল্পনার শিকার হওয়া এক মেয়ের বাবা পুলিশকে বলেছেন, সন্দেহভাজন এই ব্যক্তি তার মেয়ের সাথে বিয়ে করেছিল। পরে তাকে দুবাই হয়ে ফ্রান্সে নিয়ে যায়। শেষমেশ পরিবার জানতে পারে, তাদের মেয়ের জামাই আসলে একজন নারী।
ভুক্তভোগী ওই বাবা বলেন, পাচারকারী চক্র তার মেয়েকে নির্যাতন এবং বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করার চেষ্টা করে। যদিও পরিবারের সদস্যরা তাকে খুঁজে বের করতে সক্ষম হয়েছে। সবশেষ কাশ্মিরের মিরপুর জেলা সদর হাসপাতাল থেকে দেওয়া মেডিকেল রিপোর্ট অনুযায়ী, সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তি একজন নারী বলে জানা গেছে।