এক মাস যুদ্ধবিরতির পথে ইসরায়েল-হামাস

হামাস

গাজায় এক মাসের যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পথে অগ্রসর হয়েছে ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা এবং হামাস; কিন্তু স্থায়ী যুদ্ধবিরতি নিয়ে উভয়পক্ষের মতপার্থক্য এখনও দূর হয়নি। ৭ অক্টোবর শুরু হওয়া এই যুদ্ধের শুরু থেকে মধ্যস্থতার ভূমিকায় আছে কাতার, যুক্তরাষ্ট্র এবং মিসর। এই তিন দেশের কর্মকর্তারা জানান, হামাসের হাতে থাকা ১৩০ জনেরও বেশি জিম্মি ও ইসরায়েলের কারাগারে বন্দি ফিলিস্তিনিদের মুক্তি, গাজায় সহিংসতা স্থগিত করা এবং উপত্যকায় ত্রাণের সরবরাহ বাড়াতে ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা এবং হামাস— উভয়ই এক মাসের ‍যুদ্ধবিরতিতে প্রাথমিকভাবে সম্মত হয়েছে।

কর্মকর্তারা জানান, কাতার ও মিসরের মাধ্যমে ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা বরাবর একটি প্রস্তাব পাঠায় হামাস। প্রস্তাবে বলা হয়, তারা নিজেদের হাতে থাকা সব জিম্মিকে মুক্তি দিতে প্রস্তুত; তবে তার বিনিময়ে ইসরায়েলকে গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি ঘোষণা, ত্রাণ সামগ্রী প্রবেশ করতে দেয়ার পাশাপাশি ইসরায়েলের কারাগারে বন্দি ফিলিস্তিনিদের ছেড়ে দিতে হবে।

কিন্তু হামাসের এই প্রস্তাবে সম্মত হয়নি দখলদাররা। ইসরায়েলের এই অসম্মতির প্রধান কারণ হামাসের ‘প্যাকেজ চুক্তি’। যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা এই চুক্তিতে সম্মতি দেয়ার পরিবর্তে এ নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যেতে আগ্রহী। ইসরায়েল অসম্মতি জানানোর পর হামাসও আর এ নিয়ে অগ্রসর হয়নি। ‘গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি ঘোষণা না করলে জিম্মিদের মুক্তি নয়’— অবস্থানে অনড় ছিল এই গোষ্ঠী।

পরে কাতার, মিসর এবং ওয়াশিংটনের চাপে এক মাসের যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয় হামাস। তবে গোষ্ঠীটির পক্ষ থেকে মধ্যস্থতাকারীদের নিশ্চয়তা চাওয়া হয় যে— এই বিরতির পর গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হবে।

বিশ্লেষকদের মতে, কোনো না কোনোভাবে হামাস সেই নিশ্চয়তা পেয়েছে এবং তার ফলাফল এক মাসের যুদ্ধবিরতিতে গোষ্ঠীটির প্রাথমিক সম্মতি। হামাসের মুখপাত্র সামি আবু জুহরি বলেন, ‘গাজায় আগ্রাসন বন্ধ এবং উপত্যকা থেকে দখলদার বাহিনীকে স্থায়ীভাবে প্রত্যাহারের নিশ্চয়তা দেবে— এমন যে কোনো চুক্তি বা প্রস্তাব মেনে নিতে প্রস্তুত।’

দখলদার ইসরায়েলিদের লাগাতার বোমাবর্ষণে গত প্রায় সাড়ে চার মাসে গাজায় ২৫ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন অন্তত ৬০ হাজার এবং ধ্বংস্তূপের নীচে এখনও কয়েক হাজার মানুষ চাপা পড়ে আছেন।

আরও দেখুন

এ সংক্রান্ত আরও পড়ুন