আব্দুল বাসিত- মুসলিম-অমুসলিম সবাই যার তেলোয়াতে মুগ্ধ হয়েছেন

ক্বারী আব্দুল বাসিত। যার সুললিত কন্ঠের কোরআন তেলাওয়াত মোহমুগ্ধ ও মোহাচ্ছন্ন করত যে কাউকে। মুসলিমের পাশাপাশি অমুসলিমরাও তার সুললিত কন্ঠের কোরআন তেলাওয়াত ও সুরের মূর্ছনায় আনন্দ লাভ করেছেন। অনেকে ইসলাম ধর্মও গ্রহণ করেছেন মুগ্ধ হয়ে।

তার সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় ক্বারী ছিলেন ক্বারী মোহাম্মদ রিফাত। ঐ সময়ে ক্বারী আব্দুল বাসিতের এলাকায় কোন রেডিও ছিল না। নিজের পছন্দের ক্বারীর তিলাওয়াত শুনতে তিন কিলোমিটার পথ হেটে এক মেয়রের বাড়িতে যেতেন তিনি। এর থেকে নিকটে আর কোথায় রেডিওর বন্দোবস্ত ছিলোনা। একটা বিষয়ের প্রতি কতটা ভালোবাসা আর একাগ্রতা থাকলে একজন মানুষ শুধুমাত্র রেডিও শুনতে তিন কিলোমিটার পথ হেটে পাড়ি দিতে পারেন তা বলাই বাহুল্য। পরবর্তী সময়ে এই আব্দুল বাসিতই হয়ে উঠেন পৃথিবীর বিখ্যাত ক্বারীদের অন্যতম।

মিশরের প্রেসিডেন্টের সাথে একবার রাশিয়া সফরকালে তিনি কোরআন তিলাওয়াত করেন। তার তিলাওয়াত শুনে রাশিয়ার অমুসলিম ডেলিগেটররা অর্থ না বুঝলেও সুরের কাপনে, সুরের শক্তির কাছে নিজেদের অশ্রু বিসর্জন দেয়।

আব্দুল বাসিত মাত্র ১০ বছর বয়সে পবিত্র কোরআন মুখস্ত করে ফেলেন। ১৯৭০ এর দশকের প্রথম দিকে তিনটি বিশ্ব কেরাত প্রতিযোগিতায় তিন বারই প্রথম হয়েছিলেন। তিনি ছিলেন মিশরের ক্বারী পরিষদের প্রথম সভাপতি। তার আগমনের পর থেকে সম্ভবত তিনিই বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ ক্বারী। বিশ্বের কোরআনপ্রেমীরা আব্দুল বাসেতকে এক নামেই চেনে। বলা যায়, সুললিত ঐশ্বরিক কণ্ঠস্বরে সকলের মন জয় করতে পেরেছেন মিশরের আব্দুল বাসিত আব্দুস সামাদ।

আরও দেখুন

এ সংক্রান্ত আরও পড়ুন