সপ্তাহ পেরোলেই শুরু হচ্ছে সমুদ্রে সব ধরনের মাছ শিকারের ওপর টানা ৬৫দিনের নিষেধাজ্ঞা। এদিকে নিষেধাজ্ঞার আগ মুহূর্তে সাগরে দেখা নেই ইলিশের। সমুদ্র থেকে খালি হাতেই ফিরছেন জেলেরা। এমন অবস্থায় চরম হতাশায় দিন কাটছে জেলেদের।
দীর্ঘদিন ধরে বৃষ্টিও নেই উপকূলে। রূপালী ইলিশ শিকারের আশায় সমুদ্রে গিয়ে খালি হাতে ফিরছেন জেলেরা। কারও কারও জালে অল্প কিছু মাছ ধরা পরলেও তা দিয়ে ট্রলারের তেল ও বাজার খরচই উঠছে না। এ নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে চরম হতাশায় দিন কাটছে জেলেদের। আগামী ২০ মে থেকে সমুদ্রে শুরু হচ্ছে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা। নিষেধাজ্ঞার সময়ে বঙ্গোপসাগরে সব ধরনের মাছ শিকার বন্ধ থাকবে। তাই টানা দুই মাসেরও বেশি সময় বেকার থাকতে হবে সমুদ্রে মাছ শিকারি জেলেদের।
পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার খালগোড়া মৎস্য বন্দরের ব্যবসায়ী রেজাউল করিম বলছিলেন, প্রতি বছর নিষেধাজ্ঞার আগ মুহূর্তে যে মাছ ধরা পরে, তা বিক্রি করে বেকার সময়ের জন্যও সঞ্চয় হিসেবে রাখা হয়। কিন্তু এবার অনাবৃষ্টির কারণে অনেক দিন ধরে মাছ না পাওয়ায় সঞ্চয় তো দূরের কথা, উল্টো ঋণগ্রস্ত হতে হচ্ছে। নিষেধাজ্ঞার এই দীর্ঘ সময় কি দিয়ে সংসার চলবে তা নিয়ে চিন্তিত জেলে ও মৎস্য ব্যবসায়ীরা। তাই নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা কিছুটা কমিয়ে দেয়ার দাবি তাদের।
সামুদ্রিক মাছের সংরক্ষণ ও প্রজননের লক্ষ্যে প্রতি বছর ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে সরকার।