প্রবাসীদের বিয়ে করাই যে নারীর পেশা

ডালিয়া

নিজেকে মডেল আর অভিনেত্রীর পরিচয় দিলেও আসলে বিয়ে করাই তার নেশা ও পেশা। গল্পটা সিনেমার নয়। তবে এ কাহিনী সিনেমার গল্পকেও হার মানাবে। টুঙ্গিপাড়ার কোটালীপাড়ার মেয়ে এই ডালিয়া। তিনি কখনও নৃত্য শিল্পী, কখনো গায়িকা আবার কখনো প্রেমিকা। মূলত ফাঁদে ফেলে বিয়ে করাই তার পেশা। বিয়ে করেই গড়েছেন কোটি টাকার সম্পদ। এ পর্যন্ত তার ১২ জন স্বামীর সন্ধান পাওয়া গেছে।

ডালিয়া কখনো আক্তার সাথী, কখনো ডালিয়া খানম, আবার কখনো মায়া নামে পরিচয় দেন।

তার স্বামীর তালিকায় প্রবাসী ছাড়াও রয়েছেন র‌্যাব সদস্য, আনসার সদস্য, পুলিশ কনস্টেবল, রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী ও চাকরিজীবী। ডালিয়ার ফাঁদে পড়ে নিঃস্ব হয়েছেন প্রত্যেকেই। চাকরি হারিয়ে র‌্যাব সদস্য এখন মুদি দোকানি। আনসার সদস্য এখন অটোরিকশা চালক। প্রথম স্বামী ডালিয়ার নির্যাতন থেকে বাঁচতে দেশে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ফেলে ভারতে পালিয়ে যান। বর্তমানে তিনি নিঃস্ব। দেশের একটি বেসরকারি টেলিভিশনের অনুসন্ধানে এখন পর্যন্ত ডালিয়ার ১২টি বিয়ের সন্ধান পাওয়া গেছে। তার বিয়ে বাণিজ্য এবং বেপরোয়া জীবনের যাবতীয় নথি উঠে আসে ওই প্রতিবেদনে।

ডালিয়ার দাবি, তিনি একাধিক বিয়ে করেছেন কিন্তু কোন স্বামীকে তালাক না দিয়ে নতুন করে বিয়ে করেননি। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, একের পর এক বিয়ের পর স্বামীকে নির্যাতন শেষে দেনমোহরের টাকা নিয়ে দেন ডিভোর্স। এভাবেই ১২ জন স্বামীর কাছ থেকে কথিত মডেল ডালিয়া হাতিয়েছেন কোটি টাকা।

ডালিয়া নাম সর্বস্ব কিছু ইউটিউব চ্যানেলে অসামাজিক অভিনয় করেন। এসব থেকেই বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। এরপরই খুলে বসেন বিয়ের দোকান। তার ৮ম স্বামী সিরাজগঞ্জের আব্দুল খালেক- মালয়েশিয়া প্রবাসী। ১১ তম স্বামী নরসিংদীর সৌদি প্রবাসী এনামুল আর ১২তম এবং সর্বশেষ স্বামী হলেন ওমান প্রবাসী সাকিব।

আরও দেখুন

এ সংক্রান্ত আরও পড়ুন