ফুটবল মাঠে মারামারি একেবারেই রোজকার ঘটনা। ফাউল-ট্যাকেল কিংবা রেফারির সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে প্রায়ই মেজাজ হারান প্রতিপক্ষরা। সেখান থেকে হাতাহাতির ঘটনা দেখা যায় হরহামেশাই। কদিন আগেই ব্রাজিল এবং আর্জেন্টিনা ম্যাচেই দেখা গিয়েছে অন্য রকম এক মারামারির ঘটনা। অবশ্য সেদিন মারামারি হয়েছে গ্যালারিতে থাকা ভক্তদের মধ্যে।
তবে তুরস্কে গত সোমবারের ঘটনা ছাড়িয়ে গিয়েছে সব মাত্রাই। এবার খেলোয়াড় নয়, মারামারিতে জড়িয়েছেন সরাসরি এক ক্লাব সভাপতি। আর এর জেরে বন্ধই হয়ে গিয়েছে টার্কিশ ফুটবল লিগ। এমনকি এই ঘটনায় মুখ খুলেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান।
সোমবার তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় আঙ্কারাগুজুর বিপক্ষে অ্যাওয়ে ম্যাচে মাঠে নামে রিজেসপোর। দুই দলের ম্যাচ শেষ হয় স্বাভাবিক ১-১ গোলে ড্র দিয়ে। এরপরেই ঘটে এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। আঙ্কারাগুজু ক্লাবের প্রধান ফারুক কোজা আচমকাই রেফারি হালিল উমুত মেলেরের মুখে ঘুষি মারেন।
ঘুষির পর সঙ্গে সঙ্গেই মাটিতে পড়ে যান রেফারি। পরে ফুলে যাওয়া বাঁ চোখ নিয়ে মাঠ ছাড়তে দেখা যায় রেফারিকে। ৩৭ বছর বয়সী রেফারিকে একপর্যায়ে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপরই তুরস্ক ফুটবল ফেডারেশন অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করেছে তুরস্কের শীর্ষ ফুটবল লিগটিকে।
তুরস্কের অন্যতম নামী এই রেফারি মারধরের শিকার হওয়ার পর তুরস্ক ফুটবল ফেডারেশন লিগ স্থগিতের খবর জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে। রাষ্ট্রীয়ভাবে এর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে। এমন ঘটনার প্রতিবাদ করেছেন প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানও। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক বার্তায় এরদোয়ান লিখেছেন ‘খেলাধুলা হলো শান্তি ও ভ্রাতৃত্বের প্রতীক। সহিংসতার সঙ্গে খেলাধুলা যায় না। তুরস্কের ক্রীড়াঙ্গনে সহিংসতা বরদাশত করা যায়না।’
