একই ছাদের নিচে এক বা দুই নয়, চার স্ত্রী নিয়ে থাকেন রাজশাহীর পবা উপজেলার এএসএম জুবায়ের হোসেন জুয়েল মন্ডল। এখনো পর্যন্ত তিনি বিয়ে করেছেন ছয়টি। বর্তমানে চার স্ত্রীকে নিয়ে সুখের সংসার জুয়েলের। স্ত্রীরা মিলেমিশে থাকছেন একই বাড়িতে। জুয়েলের দাবি, স্ত্রীদের পরস্পরের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ নেই। বাবা-মাসহ চার স্ত্রী ও তিন সন্তান নিয়ে জুয়েলের সুখের সংসার। চার স্ত্রীই তার যত্ন নেন এবং খুব ভালোবাসেন।
জানা গেছে, ২০১২ সালে প্রেমের পর পারিবারিকভাবে প্রথম স্ত্রীকে বিয়ের করেন জুয়েল মন্ডল। পরে বনিবনা না হওয়ায় ৩৬ দিনের সন্তান রেখে বিচ্ছেদ হয় তাদের। শিশু সন্তানকে নিয়ে কিছু দিন পর বিয়ে করেন রিমাকে। তারপরে আসেন রোপা। তবে জুয়েলের চতুর্থ স্ত্রী ঘর করেননি বেশি দিন। এরপর তিনি ঘরে আনেন ময়নাকে। ময়নার পরে সর্বশেষ ঘরে আসেন হাসি। স্ত্রীদের সঙ্গে জুয়েলের প্রথম আলাপ হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কিংবা কর্মক্ষেত্রে।
জুয়েল বলেন, “মুসলিম নাগরিক হিসেবে কোরআনের আইন অনুযায়ী আমি চারটা স্ত্রী সবসময় রাখতে পারব। বাংলাদেশের বিবাহ আইন অনুযায়ী আমি চারটা স্ত্রী রাখতে পারব। এই আইনটার সুযোগ আমি নিয়েছি।” তিনি বলেন, এখানকার সমাজে অনেকেই আছেন, তাদের বাড়িতে একটা বউ আছে। কিন্তু তারা বাইরে খারাপ সম্পর্কে লিপ্ত হয়। আমার এই চিন্তাটা নেই। আমি বৈধভাবে চারটা মেয়ের দায়িত্ব নিতে চেয়েছি।
স্ত্রীরা জানান, তারা বোনের মতো বসবাস করেন, একসঙ্গে থাকেন। কেউ কাউকে হিংসা করেন না। কেউ কম কাজ করল বা বেশি কাজ করল, তাতে কিছু যায় আসে না। তারা জেনে শুনে বিয়ে করেছেন। তাই তাদের মন খারাপ হয় না। তাদের স্বামী এমন কিছু করেন না যে তাদের মন খারাপ হবে।
